সর্বভারতীয় কাঠামো মেনে বর্ধিত বেতন এবং ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের অনৈতিক বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনের সামনে চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা এক সপ্তাহের আমরণ অনশন৷ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷ তাও দেখা মেলেনি সরকারি কোন আধিকারিক বা শাসক দলের কোন মন্ত্রীর।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষিকা বেলা সাহা বলেন, ‘‘নায্য বেতন দাবীর আন্দোলন করার জন্য আমাদের ১৪ জন সহকর্মীকে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে প্রতিহিংসামূলক বদলি করে দেওয়া হয়েছে৷ তার জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আবেদন করেছি৷ যত দ্রুত সম্ভব সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া জন্য৷ তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন৷ আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এবং বলেন যত দ্রুত সম্ভব তিনি এর ব্যবস্থা করবেন৷ কিন্তু তারপর বেতন বৃদ্ধি ও বদলির নিয়ে এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেননি শিক্ষামন্ত্রী৷"
![]() |
শিক্ষিকারাও যোগ দিয়েছেন আমরণ অনশনে |
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অনশনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ তিনি বলেছেন, খুব শীঘ্রই সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। জানা গেছে, এই বিষয়ে রাজ্যকে নির্দেশও পাঠাতে পারেন তিনি৷
এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন না৷ শিক্ষকরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দুটোই ঠিক হচ্ছে না৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ আমি ওদের অনশন তুলে নিতে বলবো৷ আমিও ওঁদের সঙ্গে কথা বলব৷ কিন্তু, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার মধ্যে যেটা বাস্তব সেটাই হবে৷ আমার নিশ্চয়ই দেখে নেব৷ কিন্তু আমি আবার বলছি, ওরা যেন অনশন তুলে নেন৷ ওরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ দেখি, আমি নিজেও যোগাযোগ করব৷"